Latest Post



যাদুর চিকিৎসায় সোনাপাতার আশ্চর্য কার্যকারিতা!!


যাদেরকে স্বপ্নে জিন শয়তানরা খাওয়ায় তাদের জন্য 
পেটের যাদুর চিকিৎসায় বিশেষভাবে। আর সাধারণভাবে পুরো শরীরের যাদুর চিকিৎসায় সোনাপাতার আশ্চর্য কার্যকারিতা রয়েছে।

হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে :
আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর? তিনি শিবরমের নাম বললেন। তখন রসুলুল্লাহ(সা.) বললেন ‘এটা খুবই গরম।’ অতএব হজরত আসমা (রা.) পুনরায় আরজ করলেন, ‘আমি সোনাপাতা দ্বারা জুলাব নেই।’ তখন রসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।’ – ( আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১) । 


সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম:

প্রতিদিন এক চামচ গুড়া রাতে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
সকালে আবার অল্প পরিমান গরম পানি তাতে মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। প্রথমে টানা ৩দিন খাবেন ,যেনো পেট থেকে যাদুর বিষাক্ত জিনিসগুলো বের হয়ে যায়।তারপর থেকে সপ্তাহে এক বার খাবেন। অবশ্যই ব্যবহারের আগে চিকিৎসক বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
খাবার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমের আসেপাসে থাকতে হবে।
যে দিন সফর থাকবেন সেদিন না খাওয়াই ভালো হবে।


সোনাপাতা কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। শরীরের ওজন কামায়, উচ্ছ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।

বিরুদ্ধ ব্যবহার/ সতর্কতা:

অন্ত্রের কোন রোগ থাকলে, যেমন-অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার, এপেনহিসাইটিস ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে সোনাপাতা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এবং
৫ বছরের নিচের বাচ্চা ,বৃদ্ধ এবং অধীক দুর্বলদের এই হার্বস ব্যবহার করা উচিত নয়।


পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা:


দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে শরীরে পটাশিয়াম লেভেল কমে যায়। নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে-
পেটে ব্যথা
কোষ্ট-কাঠিন্য
লো ব্লাড প্রেশার
গোস্ত পেশীর দূর্বলতা
বমি বমি ভাব
বমি হওয়া
দৃষ্টি ভ্রম
শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে
হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন দেখা দেয়।

আপনি কোথায় পাবেন:


আপনার পরিচিত বানিয়াতি দোকানে খোঁজ করলেই পেতে পারেন। অনলাইনে অনেকেই বিক্রি করেন।
সোনাপাতা গুঁড়া লিখে সার্চ দিলে সেসব শপের লিংক চলে আসবে।
 
সোনাপাতা বর্তমানে বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে পাওয়া যায়।
বাংলদেশে ও সোনাপাতা গাছ প্রচুর জন্মে। এর বাংলা নাম সোনা পাতা, সোনামুখী। পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইংরেজী নাম: Senna, Tinnevelly Senna. আর বৈজ্ঞানিক নাম: Cassia angustifolia Vahl. এটি Caesalpiniaceae পরিবারের।আরবি নাম: সানামাক্কী । সোনা পাতার, ফুল, ফল ও বিচি সবি ব্যবহৃত হয়।








 




অন্তরের চিকিৎসা পাঁচটি জিনিসের মধ্যে:


এক।ধ্যানমগ্নতার সাথে কোরআন পাঠ করা। 
দুই। বেশি ভক্ষণ না করা । 
তিন।রাত্রি জাগরন করে কিয়ামুল লাইল আদায় করা ।
চার।শেষ রাতে (আল্লাহর নিকট) অনুনয় বিনয় করা।
পাঁচ। নেককার লোকদের সাথে বসা।


-ইবরাহিম আল খাওয়াস রহ.
যেমন ছিলেন তাঁরা....
পৃষ্ঠা ১৪৯


 


 শয়তান দুই প্রকার; মানুষ শয়তান ও জিন শয়তান।

কোন শয়তান বেশি খারাপ?

মানুষ শয়তান, এটি জ্বীন শয়তানের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। জিন শয়তানের কাজ এবং এর ক্ষতির শীর্ষে রয়েছে ওয়াসওয়াসা, যা সে একজন ব্যক্তির জন্য সর্বাধিক করতে পারে। সে মানুষের জন্য বিভিন্ন জিনিস আকর্ষণীয় করে তোলে । কিন্তু সে আপনার ইচ্ছা ছাড়া আপনাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করতে পারে না। 


আর মানুষ শয়তানদের ক্ষতি ও বিপদ হলো, এরা আপনাকে অনুসরণ করে এবং আপনার সাথে লেগে থাকে এবং কখনো কখনো আপানাকে বাধ্য করে। শয়তান উপাধি প্রত্যেক ঐ মানুষের জন্য প্রযোজ্য, যে মানুষের সামনে কোনো ভালো ও কল্যাণের দরজা বন্ধ করে এবং মানুষের জন্য খারাপের দরজা সমূহের মধ্য থেকে কোন দরজা খুলে দেয়। এভাবে সে নিজে এবং তার চারপাশের লোকদেরকে নিয়ে কল্যান থেকে দূরে সরে যায়।এবং তার চারপাশের লোকদের জন্য অবাধ্যতার কাজ সুসজ্জিত করে দেয়। 


কেননা শয়তান অর্থ সীমালঙ্ঘনকারী।আর এই বৈশিষ্ট্যের মানুষ ও জিন উভয়ের জন্যই এই পরিভাষা ব্যাবহার করা হয়।আজকাল আমাদের চারপাশে মানব শয়তান বেশী। মানুষ শয়তান ও জিন শয়তানদের বিষয়ে আমাদের করণীয় কী ? তা আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন।  

আয়াতে মানব ও অজ্ঞতার প্রদর্শনের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের জন্য আমাদের জন্য সর্বশক্তিমান আমাদের মধ্যে রয়েছে।

خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ * وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۚ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।

আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।

(আল আ'রাফ, আয়াতঃ ১৯৯-২০০)





 


আশিক জিনাকারী জিনকে জ্বালিয়ে  শাস্তি দিয়ে বের করার  রুক‌ইয়াহ ।জিনের ভালোবাসা ধ্বংস করার জন্য।জিনকে তার সুরক্ষিত জায়গা থেকে শাস্তি দিয়ে বের করার জন্য। 

রাকী আবু ইয়াহইয়া আল মাগরিবী।



 



জমজমের পানি রোগের  ঔষধ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ مِنْ دَلْوٍ مِنْهَا وَهُوَ قَائِمٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যমযম কুয়া হতে ছোট বালতি দ্বারা পানি উঠিয়ে দাঁড়িয়ে পান করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৯, ই.সে. ৫১২০)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫১৭৬


عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِي اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم خَيْرُ مَاءٍ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ مَاءُ زَمْزَمَ فِيهِ طَعَامٌ مِنَ الطُّعْمِ وَشِفَاءٌ مِنَ السُّقْمِ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হল যমযমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য এবং ব্যাধির আরোগ্য।” (ত্বাবারানীর আসাত্ব ৩৯১২, ৮১২৯, কাবীর ১১০০৪, সঃ জামে’ ৩৩২২)

হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১২০২




عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُولُ مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ

জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যমযমের পানি যে নিয়্যাতে পান করা হবে সে নিয়্যাত পূর্ণ হওয়ায় ফলপ্রসূ।” (ইবনে মাজাহ ৩০৬২, ইরওয়াউল গালীল ১১২৩)

হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১২০০





MKRdezign

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget